বুধবার, ২৭ জুন, ২০১২

ব্যবস্থা না নিলে দেশ গভীর সংকটে নিমজ্জিত হবে





সারা দেশে বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড মানবাধিকার পরিস্থিতির লঙ্ঘন হিসেবে বহুকাল ধরেই বিদ্যমান। রাষ্ট্রের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সাংবিধানিক ও সর্বজনস্বীকৃত দায়িত্ব হলো, অপরাধে অভিযুক্ত ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করে তদন্ত সাপেক্ষে সাক্ষ্য-প্রমাণ গ্রহণ করে বিচারের জন্য আদালতে সোপর্দ করা এবং সংশ্লিষ্ট আদালতের দায়িত্ব নিরপেক্ষ ও স্বাধীনভাবে বিচার সম্পন্ন করা; অভিযুক্ত হলে সঠিক শাস্তি নিশ্চিত করা। এ প্রক্রিয়া অনুসরণ না করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী যখন বছরের পর বছর একটি বা দুটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়, শত শত নাগরিককে ধরে নিয়ে ঠাণ্ডা মাথায় গুলি করে হত্যা করে, তখন সেটা আইনের শাসন, সাংবিধানিক অধিকার ও সর্বজনীন মানবাধিকারের গুরুতর লঙ্ঘন হয়ে দাঁড়ায়।
এ ধরনের শত শত বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের জন্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কারো কোনো বিচার না হওয়া; এসব হত্যাকাণ্ডের পক্ষে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর এমনকি প্রধানমন্ত্রীর যুক্তি দাঁড় করিয়ে বক্তব্য দেওয়া এবং তৃতীয়ত যৌথ বাহিনীর দায়মুক্তি আইন, ২০০৩ (২০০৩ সালের ১ নম্বর আইন)-এর মতো আইন করার অর্থ হলো- যৌথ বাহিনী অর্থাৎ সেনাবাহিনীসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর দ্বারা সংঘটিত সব অপরাধের সরাসরি দায়মুক্তি দেওয়া। এ ধরনের কর্মকাণ্ডের ফলে বাংলাদেশ যে ক্রমেই বন্ধুহীন হয়ে পড়ছে এবং আমাদের দেশের সমালোচকের সংখ্যা যে দিন দিন বাড়ছে, সেটা বলার অপেক্ষা রাখে না। এতে অবাক হওয়ার কিছু নেই।
সাম্প্রতিককালে জাপানের উপপ্রধানমন্ত্রী, যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী, যুক্তরাজ্যের দক্ষিণ এশিয়াবিষয়ক পররাষ্ট্রমন্ত্রী এবং অতিসম্প্রতি জার্মান পররাষ্ট্রমন্ত্রীর মন্তব্য ও সমালোচনার যদি প্রতিবাদই করি এবং মানবাধিকার পরিস্থিতি, বিচারব্যবস্থা ও দুর্নীতির ব্যাপারে অবিলম্বে সঠিক সিদ্ধান্ত এবং ব্যবস্থা গ্রহণ না করি, তাহলে অচিরেই দেশ গভীর সংকটে নিমজ্জিত হবে।
জাতীয় মানবাধিকার কমিশনকে পর্যাপ্ত অর্থ ও লোকবল দিয়ে শক্তিশালী না করাটাও সরকারের মানবাধিকার বিষয়ে উদাসীনতারই বহিঃপ্রকাশ।
ক্রমাগতভাবে মানবাধিকারের চরম লঙ্ঘন, দুর্বল আইন ও বিচার এবং দুর্নীতির ফলে বাংলাদেশের উন্নয়নের গতি শ্লথ হওয়ার কারণে স্পষ্টত সরকারের ক্ষমতাসীন ব্যক্তিরা বা তাঁদের পরিবারবর্গ ক্ষতিগ্রস্ত হবে না।
ক্ষতির সম্মুখীন হবে বাংলাদেশের সাধারণ জনগণ। ১৬ কোটি মানুষ। এমন পরিস্থিতি চলতে থাকলে চরম পরিস্থিতির বহিঃপ্রকাশ ঘটে সহিংসতার মধ্য দিয়ে, যা আমরা প্রতিনিয়ত বিভিন্ন ক্ষেত্রে দেখতে পাচ্ছি। কোথাও দুর্ঘটনা ঘটলে দেখা যাচ্ছে- ভাঙচুর, সড়ক অবরোধ ও উচ্ছৃঙ্খলতার সঙ্গে জনগণের একটি বড় অংশ জড়িয়ে পড়ছে। এ সার্বিক পরিস্থিতি অনুধাবন করে সরকার অবিলম্বে সত্যিকার অর্থে সক্রিয় হয়ে উঠবে- এটাই এখন দেশের মানুষ
প্রত্যাশা করছে।

বৃহস্পতিবার, ৭ জুন, ২০১২

সরকারের বড় শত্রু—দুদক


সরকারকে হরহামেশা গালমন্দ করে নিজেই ক্লান্ত। তাই পণ করেছি, আজ সরকারের পক্ষে বলব।
এমনিতেই নীতি-দুর্নীতি নিয়ে আরও হাজারো নাগরিকের মতো অনেক ভাবনা মনের ভেতরে কোথাও না কোথাও ইতিপাতি, হাঁসফাঁস করছিল। প্রিয় লেখক আনিসুল হক দুর্নীতি নিয়ে প্রথম আলোতে তাঁর কলামের শিরোনাম দিয়েছেন, ‘পুকুরচুরি বিলচুরি নদীচুরি’ (প্রথম আলো, ৫ জুন, ২০১২, পৃষ্ঠা ১২)। অর্থাৎ এক অর্থে শুধু টাকা-পয়সার আসল দুর্নীতির সঙ্গে সঙ্গে দুর্নীতি নিয়ে চিন্তা, বক্তব্য লেখালেখি—সবকিছুই আমাদের আছে। দুর্নীতি আছে কিন্তু কথাবার্তা নেই অথবা শুধু কথাবার্তাই আছে আসল দুর্নীতি নেই—তাহলে তো ব্যাপারটা বেমানান বা জুতসই হতো না। দুর্নীতিকে সর্বাঙ্গীণ (অর্থাৎ লেখালেখির মাধ্যমে) করার প্রয়াসে তাই আবার শামিল হই। সর্বব্যাপী ব্যাপার। বাইরে থাকি কেমনে। তবে সমস্যা হলো, অধম আমলাও না, আর রাজনীতির ত্রিসীমানায়ও ঘেঁষতে অক্ষম। তাই আপাতত দুর্নীতির বিষয়ে অবদান প্রথম আলোর কলামেই সীমাবদ্ধ রাখতে হচ্ছে!
লেখাটি নিয়ে এগোনোর আগে একটু ‘সাইড-টক’। দুর্নীতি নিয়ে গান-কবিতা, কেন হচ্ছে না। দুর্নীতি তো সবাইকে এখন ‘টাচ’ করছে। আমাদের গীতিকার, গায়ক-গায়িকারা মনে হচ্ছে এ-জাতীয় ইস্যু নিয়ে মোটেও উদ্বেলিত হচ্ছেন না। বোধ হয় দুর্নীতি রস-কষ, প্রেম-ভালোবাসাবিহীন একটা শুকনো ব্যাপার।

২. 
সরকার নিশ্চয় আরও পাঁচ বছর ক্ষমতায় থাকতে চায়। চলমান পাঁচ বছরের কম-বেশি সাড়ে তিন বছর, অর্থাৎ শতকরা ৭০ ভাগ সময় পেরিয়ে গেছে। বাকি ৩০ ভাগ, দেখতে দেখতে মাস তিনেক পরে অঙ্কের হিসাবে বাকি থাকবে সাকল্যে এক-চতুর্থাংশ সময়। আবার আরও পাঁচ বছরের জন্য সরকারের ক্ষমতায় থাকতে হলে ফলপ্রসূ ব্যবস্থা এখন থেকেই নিতে হবে, যাতে জনগণ আরও পাঁচ-পাঁচটি বছরের জন্য বর্তমান সরকারি জোটকে আবার ক্ষমতাসীন করেন। ভালো ভালো ব্যবস্থা এখন থেকেই নিতে হবে, নির্বাচনের কথা মাথায় রেখে। পুনর্নির্বাচিত হওয়া বা আরও পাঁচ বছরের জন্য ক্ষমতায় আসার পথে যে বাধার সৃষ্টি করবে, সে নিশ্চয়ই বর্তমান দিনবদলের ডিজিটাল সরকারের বড় শত্রু। আশা করছি, অধমের শত্রুসংক্রান্ত এই মূল্যায়নের সঙ্গে চরম ও কট্টর সরকারপন্থীরা একমত হবেন। নিদেনপক্ষে দাঁত-মুখ খিঁচিয়ে তেড়ে অধমের পানে ধেয়ে আসবেন না। 
দুর্নীতি দমন কমিশন বা দুদকের ওয়েবসাইটে গেলে কত অভিযোগ পাওয়া গেছে, কতগুলোর তদন্ত হচ্ছে, এফআইআর এবং মামলা কত হয়েছে, কয়টি মামলা বিচারাধীন আছে—ইত্যাদি কিছু সংখ্যা পাওয়া যায়। যেটা আজকাল পত্রপত্রিকায় দেখি না, সেটা হলো দুর্নীতির দায়ে বিচার হয়ে শাস্তি হওয়ার খবর। দুদক অনেক তদন্ত করছে। সব তদন্ত তো আর পত্রিকাআলারা হেডলাইন করে না বা সংবাদমাধ্যম পাত্তা দেয় না। যেগুলো সংবাদমাধ্যম মারফত জানতে পারি সেগুলো নিঃসন্দেহে চমকপ্রদ, অর্থাৎ যথার্থই সংবাদ হওয়ার যোগ্য। যেমন পদ্মা সেতুসংক্রান্ত দুর্নীতির কোনো ধরনের হদিস আমাদের দুদক পায়নি। ব্যাটা হতচ্ছাড়া বিশ্বব্যাংক। আমাদের ফুলের মতো পবিত্র রাজনীতিবিদদের ব্যাপারে শুধু শুধু কুৎসা রটনা। অবশ্য বোধ হয় বিনা কারণে না। নিশ্চয় ঘোরতর আন্তর্জাতিক কোনো ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে দুর্নীতির এই দুর্নাম আমাদের মন্ত্রীদের সইতে হচ্ছে। আমার মনে হয়, সম্মানিত সাংসদেরা বিশ্বব্যাংকের ঢাকা অফিসের বড় সাহেবকে এখন তলব করতে পারেন জবাবদিহি করার জন্য। তাঁকে জিজ্ঞাসা করা হোক—আমাদের স্বাধীন দক্ষ দুর্নীতি দমন কমিশন কোনো দুর্নীতি পেল না আজতক, আর আপনি কীভাবে পেলেন?
সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের বেলায় একই হলো। মাঝরাতে ঢাকা শহরে কোথায় কোন একটা গাড়িতে কয়েক লাখ টাকা পাওয়া গেল। হ্যাঁ, গাড়ির আরোহীরা সেনগুপ্ত সাহেবের বেশ পরিচিত। মন্ত্রী হয়েছেন বলে কি সেনগুপ্ত সাহেবের টাকাওয়ালা পরিচিত কোনো ব্যক্তি থাকতে পারবেন না? না কি তাঁরা তাঁদের টাকা নিজের গাড়িতে করে ঘোরাঘুরি করতে পারবেন না। সঠিকভাবেই দুদক সুরঞ্জিত বাবুর দুর্নীতির সঙ্গে কোনো সম্পৃক্ততা পায়নি।
আগেই বলেছি, দুদক খুব বেশি দুর্নীতি খুঁজে পাচ্ছে না। রিলিফের টিন, কাবিখার চাল-গম, ব্যাংকের ক্যাশিয়ারের ১০-২০ হাজার লোপাট করা—এসব সম্ভবত খুঁজে পেতে দুদক বেশ পটু। কিন্তু এ দেশের বর্তমানকালের কোনো উচ্চপদস্থ ব্যক্তি যে দুর্নীতি করেন, তার প্রমাণ দুদকের কার্যকলাপে এখন আর পাওয়া যাবে না।
আরেকটা ‘সাইড টক’। গত ফেব্রুয়ারিতে খবরে পড়লাম, দুদকের দুজন কমিশনার তাঁদের মেয়াদ পূর্তিতে অবসরে গেছেন। দুদক আইন পড়ে দেখলাম, শুধু এক চেয়ারম্যান দিয়ে দুদক চলে না; সিদ্ধান্ত নিতে হবে চেয়ারম্যানসহ মোট তিন সদস্যের সংখ্যাগরিষ্ঠের ভিত্তিতে। জনস্বার্থে ব্যস্ত বদিউল আলম মজুমদারের পক্ষে সরকারকে লিগ্যাল নোটিশ পাঠালাম। দুই কমিশনার ছাড়া দুদক চলতে পারে না। সঠিক দিনক্ষণ মনে নেই, তবে লিগ্যাল নোটিশ পাঠানোর মাস খানেক পর দুজন নতুন কমিশনার নিয়োজিত হয়েছেন। চুপেচাপে যদিও দুদক আইনে নিয়োগ কমিটি আছে হরেক রকমের হর্তাকর্তার সমন্বয়ে।

৩.
দুদক দুর্নীতি খুঁজে পাচ্ছে না, তাহলে সরকারের বড় শত্রু হলো কীভাবে?
দেশের মানুষ তো ধারণা করে, সম্ভবত দৃঢ়ভাবে বিশ্বাসও করে, দেশ দুর্নীতিতে ছেয়ে গেছে। আনিসুল হকের ভাষায়, পুকুরচুরি বিলচুরি নদীচুরি—সবই এন্তার হচ্ছে। মুহম্মদ জাফর ইকবালের ‘আবুলি সড়ক’ আর পদ্মা সেতুর দুর্নীতি ভোটের সময় ভোটাররা মনে রাখবেন। দুদক যতই ক্লিন সার্টিফিকেট দিক না কেন, মধ্যরাতের ৭০ লাখ টাকা ভোটাররা ডার্টি মানি হিসেবেই মনে রাখবেন। ২০০৪ সালে দুদক গঠিত হওয়ার পর তৎকালীন দুদক চেয়ারম্যান আর মেম্বার-কমিশনাররা কার, কিসের ক্ষমতা, আগের দুর্নীতি দমন ব্যুরোর কতজন কর্মকর্তা-কর্মচারীকে রাখা হবে, কতজন ছাঁটাই হবে ইত্যাদি বড় বড় জটিল বিষয়ে এত বেশি ব্যস্ত ছিলেন যে হাওয়া ভবন বা বিএনপির আমলের কোনো দুর্নীতির ব্যাপারেই মনোযোগী হতে পারেননি।
সে সময় দুদক দু-চারজনকে ধরতে পারলে পরবর্তী সময়ে হাওয়া ভবন এবং ক্ষমতার আশপাশের ব্যক্তিদের দুর্নীতির পরিমাণ জানতে পেরে আমরা আঁতকে উঠতাম না। ২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বরের নির্বাচনে সেই দুর্নীতি-জ্ঞানের প্রতিফলন হয়েছিল। অর্থাৎ বিএনপির আমলের বিকট দুর্নীতি ২০০৭-২০০৮-এর সরকারের আমলে ফাঁস হওয়া বিএনপির ভরাডুবির প্রধান কারণ ছিল। ২০০৪-২০০৬ সালে দুদক যদি কিছুটা হলেও সক্রিয় হতো আর রুই-কাতলা না হোক, নিদেনপক্ষে যদি কিছু পুঁটিমাছও ধরত, তাহলে বিএনপির এ ভরাডুবি হতো না।
তাই বলছিলাম, দুদক এখন সরকারের শত্রু। এটা ঠিক যে রুই-কাতলারা এখন বহাল তবিয়তে আছেন। দুদক তাঁদের বিরক্ত করছে না। আর তত্ত্বাবধায়ক আমলে বর্তমান সরকারের যেসব হোমরা-চোমরা দুর্নীতির দায়ে সাজাপ্রাপ্ত হয়েছিলেন, তাঁদের মামলা আপিলে খারিজ অথবা বিচার শেষ না হওয়া মামলাগুলো তুলে নেওয়া হয়েছে। আগের বা নতুন, কোনো মামলাই বলতে গেলে নেই। তাই বলে জনগণ কি ভাবছে যে দুর্নীতি হচ্ছে না? নিশ্চয় না। দুদক যদি দুই-চারজনকে ধরত, মামলা করত এমনভাবে যে দোষ প্রমাণিত হয়, তাহলে সরকার অনেকাংশেই তার দুর্নীতিসংক্রান্ত অপবাদ মোকাবিলা করতে পারত। অন্তত বলতে পারত, আমাদের সময় দুদক চেষ্টা করেছে, অমুক-তমুকের দুর্নীতির জন্য শাস্তি হয়েছে। বর্তমান দুদকের কল্যাণে এমনটি সরকার বলতে পারবে বলে তো আর মনে হয় না।
বলা বাহুল্য, ভোটাররা তো আর দুদকের পক্ষে-বিপক্ষে ভোট দেবেন না, দুদকের ব্যর্থতার জন্য ভোটাররা দায়ী করছেন সরকারকে। অর্থাৎ ভোট দেবে বর্তমান দায়িত্বশীল রাজনৈতিক দলের বিপক্ষে। দুদকের চেয়ারম্যান আর কমিশনাররা সরকারের কোনো হোমরাচোমরার বিরুদ্ধে তদন্ত-মামলা না করে কারও বিরাগভাজন হচ্ছেন না, এটা ঠিক। সরকারের নীতিনির্ধারক মহলের প্রায় সবাই সম্ভবত দুদকের ব্যাপারে খুবই প্রীত ও সন্তুষ্ট। 
কিন্তু ভোটাররা এটাকে মোটেও ভালোভাবে নেবেন না, সময় এলে। সরকারের বাকি ৩০ ভাগ সময়ে এ দুদক যে কোনো ব্যবস্থা নিতে পারবে, তা আর এখন বাস্তবসম্মত মনে হচ্ছে না।
অর্থাৎ এই শত্রু বর্তমান সরকারকে— অধমের আশঙ্কা—ঘায়েল করেই ছাড়বে।
ড. শাহ্দীন মালিক: জ্যেষ্ঠ আইনজীবী, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট।